৩০টিরও বেশি স্থানীয় ব্যবসার ইউনিক আইডিয়া। গ্রামে কম পুঁজির ব্যবসা।
ইউটিউব থেকে আয় করার ২০ পদ্ধতি৩০টিরও বেশি স্থানীয় ব্যবসার ইউনিক আইডিয়া। চমকে গেলেন? চমকানোর কিছু নেই। আমাদের আশেপাশে তাকালেই আমরা ব্যবসার আইডিয়া গুলো নিতে পারি। বেশিরভাগ সময়েই আমরা এগুলোকে গুরুত্ব দিইনা। কিন্তু দিনশেষে এই ব্যবসা থেকেই আমাদের অনেকের সংসার দিব্যি চলে যায়।
জানতে ইচ্ছে করছে কেমন ব্যবসা? একটু বুদ্ধি খাটালেই আপনার চোখের সামনে এমন অনেক আইডিয়া ঘোরাফেরা করছে। চলুন জানতে চেষ্টা করি ব্যবসার ইউনিক আইডিয়াগুলো কেমন হতে পারে।পোস্ট সূচিপত্রঃ
চায়ের দোকান দিয়ে ব্যবসা
গ্রামে গঞ্জের অলিতে গলিতে রয়েছে চায়ের দোকান। চা পান করা একটি উপলক্ষ মাত্র। এখানে বসে মানুষ খোশ গল্পে মেতে ওঠে।রাজনীতি নিয়েও তর্ক চলে। শুধু চা নয়, সাথে পাওয়া যায় বিস্কুট, চানাচুর, চকলেট, বিড়ি, সিগারেটসহ তুলনামূলক কম দামি পণ্য।
গ্রামে যখন কাজ থাকেনা মানুষের অবসরের সঙ্গি তখন চায়ের দোকান। বয়স্করা যেমন চায়ের দোকানে আড্ডা দেয় তেমনি ছেলেরা লুডো বা ক্যারাম খেলায় মেতে ওঠে। খেলার সরঞ্জামগুলো দোকান মালিকের। মানুষ ঘণ্টার পর ঘণ্টা আড্ডা দেয় দোকানে। যতক্ষণ মানুষের আনাগোনা থাকে ততোক্ষণ চলে দোকানের বেচা বিক্রি।
গ্রামে বা বাজারে ছোট একটি চায়ের দোকান হতে পারে আপনার সংসার চালানোর জন্য একটি ইউনিক আইডিয়া। কম পূজিতে ভাল উপার্জনের একটি মাধ্যম হতে পারে আপনার চায়ের দোকানটি। খাবার ছাড়াও খেলার সরঞ্জাম থেকেও আপনার আয় নিশ্চিত।
পানের ঢোপের মাধ্যমে ব্যবসা
বাঙালি ভোজন রসিক। সেটা যে কোন ধরণেরই হোকনা কেন? অনেকে যেমন চা,সিগারেটে আসক্ত তেমনি অনেকে আছেন তাদের তিন বেলা ভাত না খেলেও পান তাদের খেতেই হবে। দেশের অনেক যায়গাতে পানের চাষ করা হয়। কিছুকাল আগেও প্রায় অনেক বাড়িতেই পানের বাটা শোভা পেতো।
কালের বিবর্তনে বাড়ির সেই পানের বাটা না থাকলেও শহর,গ্রাম সব যায়গায়,সব গলিতেই পানের ঢোপ চোখে পড়ে। আসক্ত না হলেও অনেকে শখের বশে পান খেয়ে থাকে।বিশেষ করে কোন দাওয়াতে গেলে বা ভারী খাবার খাওয়ার পরে এক খিলি পান মুখে দিলে যেন তৃপ্তি মেলে।
একটা মজার ব্যাপার খেয়াল করেছেন কি? আশেপাশের অন্যান্য দোকান বন্ধ থাকলেও বাড়ির পাশের ছোট্ট পানের ঢোপটি প্রায় সবসময় খোলা পাবেন। এতে আহামরি বেশি আয় না হলেও একটি ছোট সংসার দিব্যি খেয়ে পরে চলে যায়। তাই আপনি চাইলেই খুবই অল্প টাকাতে একটি পানের ঢোপ দিয়ে ব্যবসা করতে পারেন।
আরও পড়ুনঃফেসবুক থেকে আয় করার ১২টি উপায়
মুচির দোকান দিয়ে ব্যবসা
মানুষ যেদিন থেকে সভ্য হয়েছে সেদিন থেকেই তাদের পায়ের সুরক্ষায় চটি, স্যান্ডেল,জুতো্র ব্যবহার শিখতে শুরু করেছে। অনেকে আছেন যারা ইচ্ছে করলেই নতুন নতুন স্যান্ডেল, জুতা কিনতে পারেনা। তা পুরাতন হয়ে ছিড়ে যায়। আবার অনেক সময় পুরাতন জুতা পালিশ করতে হয়।
এই সময় দরকার পড়ে মুচি। মুচিরা আমাদের পায়ে পরার স্যান্ডেল, জুতা পরম দক্ষতায় মেরামত করে আবার পরার উপযুক্ত করে দেয়। পুরাতন জুতো পালিশ করে একবারে নতুনের মত চকচকে করে তোলে। মুচিদের ব্যবসা করতে তেমন কোন মূলধন লাগেনা। জুতা সেলাই করার ও পালিশ করার কয়েকটি জিনিষ নিয়েই শুরু করতে পারে।
সব থেকে ভালো ব্যাপার হলো তাদের ব্যবসার জন্য আলাদা করে বড় কোন জায়গার দরকার হয়না। এক হাত জায়গা হলেই তারা সেখানে বসে তাদের ব্যবসা করতে পারে।সব থেকে বড় কথা হলো প্রায় বিনা পুজিতে এই ব্যবসা সহজেই করতে পারেন।স্থানীয় ব্যবসার এই ইউনিক আইডিয়াটি আপনিও ট্রাই করতে পারেন।
সবজি দোকান করে ব্যবসা
গ্রামে বা শহরে যে কোন জায়গাতে সবজির দোকান দিতে পারেন। মানুষ যতো অভাবেই থাকুক না কেনো খাবার তাদের খেতেই হবে। ভাতের সাথে যে কোন তরকারি অবশ্যই থাকবে। অনেকে সবজি উৎপাদন করলেও তারা বাজারে নিয়ে পায়কারি বিক্রি করে দেয়।
সেই সবজিগুলো দোকানদার কিনে নিয়ে খুচরা বিক্রি করে। আপনার যদি সামান্য পুজি থাকে তাহলে সবজির দোকান দিয়ে সেখান থেকে ব্যবসা করতে পারেন। এমন অনেকে রয়েছে যারা ছোট সবজির দোকান দিয়ে বেশ ভালো ভাবেই সংসার চালিয়ে যাচ্ছেন।
সবজির ব্যবসা করতে দোকান দিতেই হবে এমন কিন্তু না। আপনি যে কোন জায়গায় বসেও সবজি বিক্রি করতে পারেন। অনেকে বাজারের এক কোনাতে চটি বিছিয়েও সবজি বিক্রি করে।
ঔষধের দোকান দিয়ে ব্যবসা
স্থানীয় ব্যবসার ইউনিক একটি আইডিয়া হল ওষুধের দোকান।শহরে বড় বড় ফার্মেসি যেমন রয়েছে তেমনি গ্রামেও স্বল্প পরিসরে ঔষধের দোকান দিতে পারেন। বিভিন্ন কোম্পানি আপনাকে সহযোগিতা করবে নিশ্চিত। এতে কম পুজি দিয়ে ব্যবসা শুরু করে লেগে থাকলে এক সময় বেশ ভালো মুনাফা অর্জন করা সম্ভব।
আপনি চাইলে প্রথমে বাড়িতেই ছোট দোকান দিতে পারেন। গ্রামের মানুষ রাত বিরাতে কোন সমস্যায় পড়লে বাজারে যাওয়ার সু্যোগ থাকেনা।এই বিপদে অন্যের পাশে দাড়ানোর সুযোগটা আপনি চাইলেই নিতে পারেন। প্রাথমিক পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য নাপা,গ্যাসের ঔষধ, ওরস্যালাইন ইত্যাদি রাখতে পারেন,বিপদের বন্ধু হিসেবে।
সেলুন দিয়ে ব্যবসা
নিজেকে পরিপাটি করতে কে না চায়। আপনি যদি চুল কাটায় দক্ষ হয়ে থাকেন তবে নিশ্চিন্তে একটি সেলুন খুলতে পারেন। মানুষ এমনি এসে আপনাকে খুজবে। চুল, দাঁড়ি কামাতে একজন নাপিতের কদর আদি থেকে আজ ফভ অবধি অবশ্যই রয়েছে। বিশেষ করে এখনকার উঠতি বয়সি ছেলেরা নাপিতের কাছে যায় বিভিন্ন ডিজাইন করতে। ভালো আয়ের উৎস হতে পারে এই সেলুন।
মোবাইল সার্ভিসিং এর ব্যবসা
এখন সবার হাতে হাতে মোবাইল। কারও কারও কাছে একের অধিক। ইলেকট্রনিক্স জিনিষ যে কোন সময় সমস্যা হতে পারে। আপনি যদি মেরামতে দক্ষ হয়ে থাকেন তবে এই ইউনিক ব্যবসাটি আপনার জন্য হবে উপহার স্বরূপ। ভালো সার্ভিস পেলে সবাই আপনাকে খুজে নিবে।
একদিন,এক মুহূর্ত আমাদের মোবাইল ছাড়া চলেনা। মোবাইলের সমস্যা হলে আমরা পাগল হয়ে যায়। এই কাজে প্রশিক্ষন নিয়ে সহজেই আপনি সাবলম্বি হতে পারেন। এই কাজের চাহিদা কতো তা নিশ্চয় বোঝাতে হবেনা। স্থানীয় ব্যবসার ইউনিক আইডিয়াটি আপনিও লুফে নিতে পারেন।
মুদি দোকান দিয়ে ব্যবসা
চাল ,ডাল,সহ নিত্য প্রয়োজনীয় পন্য কিনে একটি মুদি দোকান দিতে পারেন। ৩০টিরও বেশি স্থানীয় ব্যবসার ইউনিক আইডিয়া গুলোর মধ্যে একটি হলো এই মুদিখানার ব্যবসা।চাহিদা মোতাবেক পন্য সরবরাহ করতে পারলে আপনি অল্প দিনেই ভালো আয়ের মুখ দেখবেন।
আরও পড়ুনঃপ্রতি সপ্তাহে ৪০০০ টাকা পর্যন্ত আয় করুন
ভ্যারাইটি স্টোরের ব্যবসা
বিভিন্ন পন্যের সমাহারে সাজানো থাকে এই দোকান।এলাকার চাহিদা অনুযায়ি বিভিন্ন পন্যের মাধ্যমে আপনার এই দোকানাটি সাজাতে পারেন। বইখাতা থেকে শুরু করে চুরি ফিতা সবই রাখতে পারেন এখানে।ছেলে মেয়ে উভয়ের চাহিদা পুরন করে এই দোকানের মাধ্যমে। বসে থেকে আরামে ব্যবসা করতে চাইলে এই ব্যবসা করতে পারেন।
ফলের দোকানের ব্যবসা
স্থানীয় ব্যবসার ইউনিক আইডিয়া হতে পারে ফলের দোকান। আপনি যদি মনে করেন আপনার কাছে ইনভেস্ট করার মতো টাকা নাই সেক্ষেত্রে আপনার বাড়ির গাছের ফল দিয়েও ব্যবসা শুরু করতে পারেন। আবার শুধু নির্দিষ্ট দোকান থাকতে হবে এমনটাও না।
আপনি প্রথমে যে কোন জায়গায় যেমন-রাস্তার পাশে,ফুটপাতে ফলগুলো বিক্রি করতে পারেন।যেহেতু আপনাকে কোন ইনভেস্ট করতে হয়নি সেহেতু বিক্রি করা সম্পূর্ণ টাকা আপনার লাভ হল।
ফুলের ব্যবসা
আপনার হাতে যদি ইনভেস্ট করার মতো টাকা থাকে তাহলে ফুল কিনে দোকান দিয়ে ব্যবসা করতে পারেন। তবে যদি আপনার হাতে টাকা না থাকে তবে আপনার বাগানের ফুল দিয়েই ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এখন সারা বছর কনো না কোন ফুলের চাষ করা যায়।
আপনার যদি ইচ্ছে থাকে তাহলে অবশ্যই ফুলের বাগান করে সেই ফুল বাজারে বেঁচে ভালো ইনকাম করা যায়।ফুলের জন্য যেমন পরিবেশটা সুন্দর হয় তেমনি ব্যবসা করে ভাল রোজগার করা সম্ভব।
দর্জির ব্যবসা
খাবারের যেমন প্রয়োজন তেমনি পোশাকেরও। আপনি যদি চান তবে দর্জির ট্রেনিং নিয়ে এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন। বিশেষ করে মহিলাদের পোশাক বানাতে তারা মহিলা দর্জি খুজে।আপনি যদি একজন মহিলা হয়ে থাকেন তবে বাড়িতে থেকেও আপনি এই ব্যবসা চালাতে পারেন।
তাছাড়াও পুরুষদের জন্যও দর্জি বাড়ির প্রয়োজন কতোখানি তা নিশ্চয়ই আপনাকে আলাদা করে বুঝাতে হবেনা। স্বল্প পুজিতে আপনি বাজারে একটা দোকান দিতে পারেন।আপনার কাজ ভাল হলে মানুষ আপনাকে ঠিক খুঁজে নিবে।
হাড়ি-পাতিল মেরামতের ব্যবসা
আধুনিক চুলার রান্নার জন্য হাড়ি-পাতিল আলাদা।এগুলো আলাদা ভাবে সারাই করতে হয়।একজন গৃহিণী জানেন এই ব্যবসার গুরুত্ব কতটা।বিশেষ করে রাইস কুকার,প্রেসার কুকার ইত্যাদি জিনিষ নষ্ট হয়ে গেলে বাড়িতে খাওয়া বন্ধ। এখন উপায়? সমাধানের জন্য হন্যে হয়ে মেরামতের দোকান খুঁজতে হয়।
আপনি যদি একদম বিনা পুজিতে এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন তবে খুব সহজেই আয়ের মুখ দেখতে পারবেন। কারন যতদিন রান্না বান্না আছে ততদিন হাড়ি-পাতিল নষ্ট হবে। বুদ্ধিমান হয়ে থাকলে আপনিও এই ব্যবসা করতে পারেন।
গরুর দালালি ব্যবসা
গরুর খামারি গরুর লালন-পালন করে বাজারে বিক্রির জন্য। কিন্তু বাজারে বিক্রির কাজটি করে সাধারণত অন্য কেউ।যাদের আমরা সহজ ভাষায় গরুর দালাল বলে থাকি।একদম খালি হাতে এই ব্যবসাটি করা যায়। খামারির সাথে কথা বলে ঠিক করে নিবেন আপনি বিনিময়ে কতো চান।
এখন আবার অনলাইনেও বেচা কেনা হচ্ছে।তবে সেটা অনেক কম পরিসরে। মানুষ সরাসরি দেখে কিনতেই পচ্ছন্দ করে। তাই এই দালালদের চাহিদা সবসময় থাকবে।
মধুর ব্যবসা
স্থানীয় ব্যবসার ইউনিক আইডিয়ার মধ্যে মধুর ব্যবসা হলো অধিক লাভজনক। অল্প কিছু টাকা দিয়ে মৌমাছি কিনে সারা বছর মধু উৎপাদন করা যায়। মধুর চাহিদা আগের তুলনায় অনেক বেশি।চাহিদার তুলনায় অনেক কম উৎপাদন হয়। তাই বেকার বসে না থেকে মধুর ব্যবসা করে স্বাবলম্বী হোন।
ফেরিওয়ালা
গ্রামের আনাচে কানাচে অনেকে ফেরি করে অনেক জিনিস বিক্রি করে।কম মুল্যের পন্য হলেও এর অনেক চাহিদা রয়েছে গ্রামে গঞ্জে। গরিব মানুষের স্বল্প আয়ের চাহিদা মেটাতে এই ফেরিওয়ালা একমাত্র ভরসা। খুব অল্প দামে পন্য পাইকারিতে কিনে খুচরা বিক্রি করে একটা সংসার চালানো সম্ভব।
পাবলিক টয়লেটের ব্যবসা
আমরা যা গ্রহন করি তার বিপরীতে ত্যাগ করতে হয়। আমরা যখন হাটে বাজারে বা কোথাও যাই সেখানে পাবলিক টয়লেট থাকা জরুরি। ব্যক্তি উদ্যোগে আপনি যদি পাবলিক টয়লেটের ব্যবসা চালু করতে পারেন তবে ইনকাম অবশ্যম্ভাবী। এখানে ব্যবহার করে টাকা দিতে কেউ পিছপা হবেনা।
বিশেষ করে অনেক মা বোনেরা টয়লেটের ব্যবস্থা না থাকার কারনে নানা অসুবিধায় পড়ে। ফলে অনেক রোগব্যাধিতে আক্রান্ত হয়। এর ভাল সমাধানে আপনিও অংশ নিতে পারেন।স্থানীয় ব্যবসার ইউনিক আইডিয়ার মধ্যে এটি বেছে নিলে আপনার সাথে জনগণেরও উপকার হবে।
ফ্লেক্সিলোডের ব্যবসা
এখন সবার হাতে মোবাইল। মোবাইলে ব্যালেন্সের জন্য ফ্লেক্সিলোড প্রয়োজন।খুবই জরুরি সেবা এটি। গ্রামের ছোট দোকানেও আপনি এই ব্যবসাটি চালাতে পারেন। সিম কোম্পানি থেকে আপনি কমিশন পেয়ে যাবেন। বিনা পুঁজিতে এই ব্যবসা করে অনেক বেকার যুবকের কর্মসংস্থান হয়েছে।
মাইকিং সার্ভিস
স্থানীয় ব্যবসাগুলোর মধ্যে ইউনিক একটি ব্যবসা হল মাইকিং সার্ভিস।যারা ভালো বলতে পারেন,উচ্চারন ভালো তাদের অনেক ডীমান্ড রয়েছে এই সেক্টরে। মাইকিং সার্ভিসের মাধ্যমে জনগণের মাঝে বিভিন্ন তথ্য প্রচার করা হয়ে থাকে। মাইকের মাধ্যমে যে ভালো কথা বলতে পারে এমন একজন লোক প্রয়োজন হয়।
আপনি যদি ভালো কথা বলতে পারেন আপনার উচ্চারণ যদি ভালো হয় সেক্ষেত্রে আপনি এই ব্যবসার সাথে জড়িত হতে পারেন। সেক্ষেত্রে আপনাকে কোন বক্তা হায়ার করতে হবে না আপনি নিজেই আপনার বক্তব্য পেশ করতে পারবেন।
পুরাতন কাপড়ের ব্যবসা
দরিদ্র মানুষের জন্য নতুন পোশাক কেনা সম্ভব হয় না। সে ক্ষেত্রে তাদের একমাত্র ভরসা পুরাতন কাপড়ের দোকান। অল্প পুজিতে আপনিও এই ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন। গ্রামে গঞ্জের হাটে বাজারে এমনকি শহরেও এই পুরাতন কাপড়ের ব্যবসা ভালো চলে। বিশেষ করে শীতের দিনে গরম কাপড়ের খোজে দরিদ্র মানুষেরা পুরাতন কাপড়ের দোকানে হুমড়িখেয়ে পড়ে।
কাঠের ব্যবসা
অনেকেই কাঠের ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহ করে। কাঠ ব্যবসায়ীরা গাছ কিনে নিয়ে ,গাছ কেটে বিভিন্ন সাইজের কাঠ সংগ্রহ করে থাকেন । চাহিদা অনুযায়ি কাঠের বিভিন্ন সাইজ করে বিক্রি করে দেয়।আপনি চাইলেই এমন একটি ব্যবসার সাথে জড়িত হতে পারেন।
ফার্নিচারের ব্যবসা
ফার্নিচারের ব্যবসা হতে পারে দুই ধরনের। নতুন ফার্নিচার ও পুরাতন ফার্নিচার। আপনি চাইলে নতুন ফার্নিচারের ব্যবসা করতে পারেন সে ক্ষেত্রে আপনাকে টাকা ইনভেস্ট করতে হবে বেশি। কিন্তু যেহেতু প্রথম অবস্থায় আপনার মূলধন কম সে ক্ষেত্রে আপনি পুরাতন ফার্নিচার কেনাবেচা করতে পারেন।
পুরাতন ফার্নিচার গুলো কম দামে কিনে সেটি রিপিয়ারিং করে মার্কেটে ভালো দামে আবার বিক্রি করে দিতে পারেন। এভাবে আপনি পুরাতন ফার্নিচারের ব্যবসা করে এ থেকে ভালো আয় করতে পারেন।
লেপ তোষকের ব্যবসা
শীতকালে আমাদের গরম কাপড়ের প্রয়োজন হয়। রাতে শোয়ার সময় লেপ তোষক ছাড়া শীত পার করা কঠিন হয়ে পড়ে।এই সময় প্রচুর লেপ তোষকের চাহিদা বাড়ে। আপনি একটি ছোট্ট দোকান দিয়ে লেপ তোশক, বালিশ এগুলো তৈরি করে বিক্রি করতে পারেন। তাছাড়া বালিশ এবং তোষকের চাহিদা সারা বছরই থাকে।
স্থানীয় ব্যবসার ইউনিক আইডিয়ার মধ্যে লেপ,তোশকের ব্যবসা বেশ ভাল আয়ের উৎস। আপনি চাইলে নিজ বাড়িতেও এই ব্যবসাটি করতে পারেন।
কীটনাশক ও সারবীজের ব্যবসা
কৃষক জমিতে ফসল ফলানোর জন্য ভালো বীজ এবং ভালো সারের খোঁজ করে থাকে। ফসলে পোকার আক্রমণ হলে কীটনাশকের প্রয়োজন পড়ে। আপনি ইচ্ছা করলে কোন কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করে কীটনাশক ও সার বীজের দোকান দিতে পারেন।
খড়ির ব্যবসা
গ্রামের বাড়িতে এখনো অনেকে মাটির চুলায় খড়ি দিয়ে রান্না করে থাকে। এমন কি শহরেও কখনো কখনো মাটির চুলায় অনেকে রান্না করে থাকে। মাটির চুলাতে রান্না করতে হলে খড়ির প্রয়োজন হয় । মাটির চুলার জন্য আলাদা খড়ির প্রয়োজন। এই খড়ির ব্যবসা করেও আপনি ভালো রোজগার করতে পারবেন। খড়ির চাহিদা রয়েছে প্রচুর।
আও পড়ুনঃরনটরডেম কলেজে পড়ার ২০টি কারন
গবাদি পশু পাখির খামারের ব্যবসা
গ্রামে ব্যবসা করার জন্য গবাদি পশু পাখির খামার বেশ লাভজনক। আপনি কিছু টাকা ইনভেস্ট করে বাড়ির পাশেই গবাদি পশু পাখির খামার করতে পারেন। এই ব্যবসাতে বেশ ভালো আয়ের সম্ভাবনা থাকে। গরু ছাগল হাঁস মুরগি খরগোশের খামার করা যায়। এই ব্যবসার মাধ্যমে নিজেরদের চাহিদা মিটিয়েও বাজারে বিক্রি করে অনেক ভালো আয় করা সম্ভব।
গবাদি পশু পাখির জন্য খাবারের ব্যবসা
আপনি যখন গবাদি পশু পাখির খামার করবেন তখন তাদের খাবার প্রয়োজন। এই খাবারগুলো অন্য দোকান থেকে কিনে আনতে হয়। আপনি চাইলেই গবাদি পশু পাখির জন্য খাবারের ব্যবসা করতে পারেন। বিভিন্ন কোম্পানির খাবার বাজারে সাপ্লাই থাকে আপনি যে কোন কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করে তাদের খাবারের এজেন্ট হতে পারেন।
এতে আপনার খামারের জন্য যে খাবার প্রয়োজন তা আপনার নিজের দোকান থেকেও নিতে পারেন অন্যদিকে কোম্পানি আপনাকে কিছু কমিশন দেবে। এভাবেও আপনি আপনার ব্যবসাটি প্রতিষ্ঠিত করতে পারেন।
টুরিস্ট গাইডের ব্যবসা
আপনি একজন টুরিস্ট গাইড হয়েও নিজের ব্যবসা চালিয়ে নিতে পারেন। সেজন্য আপনার প্রয়োজন বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান এবং তথ্য জানা। যদি আপনি অন্য কোন ভাষা জানেন তাহলে সেটি হবে আপনার জন্য প্লাস পয়েন্ট। অনেক বিদেশী পর্যটক আসে আমাদের দেশের বিভিন্ন আনাচে ঘুরতে।
আমাদের ভাষা না বোঝার কারণে অনেক কিছু থেকে বঞ্চিত হয়। তাদের এ সময় দোভাষীর প্রয়োজন হয়। আপনি যদি ইচ্ছে করেন তাহলে অন্যান্য দেশের ভাষা ও কিছু শিখে রাখতে পারেন। দোভাষী টুরিস্ট গাইডের প্রচুর ডিমান্ড রয়েছে।সত্যিই এই ব্যবসাটি একদম ইউনিক।
কুটির শিল্পের ব্যবসা
আমাদের দেশের গ্রামে গঞ্জে অনেকে কুটির শিল্পের কাজ করে থাকে। বাঁশ বেতের সুন্দর জিনিস তৈরি করা হয়। এগুলো পাইকারি দরে কিনে বিভিন্ন হাটে বাজারে মেলাতে খুচরা মূল্যে ভালো দামের বিক্রয় করা যায়। বাঁশের কঞ্চি দিয়ে, পাতা দিয়ে বিভিন্ন পন্য তৈরি হয় যা কিনা শুধু দেখতেই ভালো লাগে তা নয় বরং নিত্য কাজে লাগে এমন জিনিসও পাওয়া যায়।
বুটিকের ব্যবসা
কাপড়ে বিভিন্ন নকশা করে,বুটিকের ব্যবসা করে অনেকে সাবলম্বি হয়েছে। আপনিও এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন। অন্যদের অর্ডার নিয়ে নিজে বা অন্যকে দিয়ে কাজ করিয়ে নিয়েও বুটিকের ব্যবসা দাড় করাতে পারেন। এতে বিনা পুজিতে ভালো আয় করা সম্ভব।
অনেকে কি কাজ করবে বুঝতে পারেনা। আপনি চাইলেই স্থানীয় ব্যবসার এই ইউনিক আইডিয়াটি নিয়ে ব্যবসা শুরু করতে পারেন। গ্রামের মহিলারা অবসর সময়ে অনেকে বিভিন্ন ধরনের নকশি কাথা,পাপোশ, জামায় ফুল তোলা ইত্যাদি কাজ করে থাকে। আপনি তাদের থেকে এগুলো কিনে নিয়েও নিজের ব্যবসা দাঁড় করাতে পারেন।
উল্লেখিত ব্যবসা ছাড়াও আরও বেশ কিছু স্থানীয় ব্যবসার আইডিয়া দিয়ে রাখি।যেমন- হার্ডওয়ারের ব্যবসা,ইলেকট্রনিক্স, ইলেকট্রিক্যাল, লেদ এর ব্যবসা, মাছের ব্যবসা, বিউটিপারলার,হ্যাচারির ব্যবসা,খাবার হোটেল ইত্যাদি।
শেষ কথা
উপরের আলোচনা থেকে স্থানীয় ব্যবসার কিছু ইউনিক আইডিয়া দেখানোর চেষ্টা করেছি। আমার এই লেখা থেকে আপনি যদি এতটুকু উপকৃত হয়ে থাকেন তবে আমার এই পরিশ্রম সার্থক। চোখের সামনে থাকলেও অনেক সময় আমাদের নজরে আসেনা অনেক কিছুই। আলোচনার মাধ্যমে তাই দিকগুলো সামনে আনার চেষ্টা করেছি।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url