মানুষ মাদকাসক্ত কেন হয় এর ভয়াবহতা এবং সমাধান
আমরা সামাজিক জীব । এই সমাজে বাস করতে গিয়ে অনেক রকম মানুষের সাথে পরিচয় হয়। । তবে সমাজে বা পরিবারের যদি কোন মাদকাসক্ত ব্যক্তি থাকে, তবে সেই ব্যক্তি তার আশেপাশের সবকিছুকে একেবারে বিষাক্ত করে ফেলে।
পেজ সূচিপত্রঃ
মাদকাসক্তের কারণঃ
বর্তমান পৃথিবীতে লক্ষ্যমাদকাসক্তের কুফল করলে আমরা দেখতে পাই যে, কিশোর এবং তরুণ বয়সেই ছেলেরা বেশি মাদকে আসক্ত হচ্ছে। বিভিন্ন ধরনের কারণ থাকতেপারে যেমন; সামাজিক মূল্যবোধের অভাব, দারিদ্র্, উচ্চাকাঙ্ক্ষী ,ধৈর্যের অভাব, অতিরিক্ত আবেগ ইত্যাদি।
মাদকাসক্তের কুফলঃ
পরিবারে যদি একজন মাদকাসক্ত ব্যক্তি থাকে তবে, সেই পরিবার ধ্বংস হতে বাধ্য। অর্থনৈতিকভাবে হতে পারে আবার সামাজিকভাবে ও। সুস্থ মানুষ যেমন স্বাভাবিক চলাফেরা করে, মাদকাসক্ত ব্যক্তি ঠিক তার উল্টো। মাদকের পেছনে তাকে অনেক টাকা খরচ করতে হয়। যার ফলে সংসারে শুরু হয় অশান্তি। সমাজের মানুষ তাকে খারাপ নজরে দেখে..।.
অর্থনৈতিক ক্ষতিঃ
বাংলাদেশের বেশিরভাগ পরিবার দারিদ্র সীমার নিচে বাস করে। এই পরিবার থেকে যখন কোন সন্তান মাদকে আসক্ত হয়ে যায়, তখন এই পরিবারের অবস্থা আরো শোচনীয় হয়ে পড়ে। যেখানে পরিবারের তিন বেলা খাবারের ব্যবস্থা করা কঠিন, সেখানে মাদকের জন্য টাকার যোগান দিতে গিয়ে পরিবারটি নিঃস্ব হয়ে পড়ে।
মূল্যবোধের অভাবঃ
অনেক সময় আমাদের মধ্যে সমাজের মূল্যবোধের অভাব দেখা দেয়। অন্যের দেখাদেখি অপসংস্কৃতি তে আমরা জড়িয়ে পড়ি। তরুণ বয়সে অনেকেই আবেগ তাড়িত হয়ে পড়ে। সমাজকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে আমরা অপসংস্কৃতিতে জড়িয়ে পড়ি। পিতা-মাতা হিসেবে আমরা সন্তানকে সঠিক পথ দেখাতে পারি'
সঙ্গ দোষঃ
কিশোর বয়সে সন্তানরা হয় খুব নাজুক। খারাপ সঙ্গে পড়ে এই সময়ে অনেকেই মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে।
এই সময়ে ছেলেদের মধ্যে বেশি আবেগ দেখা দেয়। অজানাকে দেখার, অজানাকে জানার আগ্রহ সৃষ্টি হয়। বিচার করার বুদ্ধি থাকে না। অন্যকে যা করতে দেখে, তাই করার আগ্রহ দেখা যায়।... এছাড়াও নিষিদ্ধ জিনিসের প্রতি আগ্রহটা একটু বেশিই থাকে।
শুধু দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যেই নয়, উচ্চবিত্তের সন্তানেরাও এই বয়সে এসে ভুল পথে পা বাড়ায়। সম্পদের অভাব না থাকায় তারা বেপরোয়া হয়ে ওঠে।তারা তারা নিত্য নতুন মাদক গ্রহণ করতে থাকে। একপর্যায়ে তারা এতে আসক্ত হয়ে যায়।
সমাধানঃ
শুধু কিশোর বয়সেরই নয় ,বিভিন্ন বয়সের মানুষের মাদকাসক্ত হতে পারে। পরিবারের বাবা মা ভাই বোন থেকে শুরু করে সমাজের সর্বস্তরের জনগণের উচিত এর মোকাবেলা করা। সন্তানকে সঠিক পরামর্শ দিতে হবে। এ সময় যেন অসৎ সঙ্গে না পড়ে সেটার দিকে খেয়াল রাখতে হবে। সন্তানকে এর ভালো-মন্দ ব্যাখ্যা করতে হবে.।.
যদি বা অসৎ সঙ্গে পড়ে মাদকাসক্ত হয়ে যায়., তবে তাকে কাউন্সিলিং করে সমাজের মূল ধারায় ফিরিয়ে আনতে হবে। এ বয়সে শারীরিক এবং মানসিক পরিবর্তন হয়। মেজাজ সবসময় রুক্ষ হয়ে থাকে'। তাদের সাথে ভালো ব্যবহার করে বন্ধুর মত মিশতে হবে হবে'। প্রয়োজনে চিকিৎসকেরও শরণাপন্ন হতে হবে।
পরিশেষে বলতে পারি যে,আমাদের সমাজ থেকে এই দুরারোগ্য ব্যাধি দূর করতে হবে। আসুন আমরা সবাই মাদকের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে উঠি। মাদককে না বলি।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url