OrdinaryITPostAd

ফুলের বাগান কেন করব



যুগ যুগ ধরে বাংলার কৃষক যেমন আদিগন্ত ফসলের মাঠের দিকে তাকিয়ে পুলকিত হয় তেমনই বাড়ির পাশে এক চিলতে ফুলের বাগানের দিকে যখনি চোখ যায় হাজার দুঃখ কষ্টের মাঝেও মন প্রফুল্ল হয়ে যায়।ফুল পবিত্রতার প্রতীক।


স্বার্থ ছাড়াই সে নিজের মহনীয় রূপ অন্যের জন্য বিলিয়ে দেয়। ,ফুল আমাদের শেখায় মানুষকে ভালবাসতে। বাড়ির পাশের ছোট্ট বাগানটি একটি কুড়ে ঘরকেও যেন তার সৌন্দর্যে রাজপ্রাসাদকেও হার মানায়।

বাংলাদেশ ছয় ঋতুর দেশ।এদেশের আবহাওয়া নাতিশীতোষ্ণ। ঋতু ভেদে বিভিন্য ধরনের ফুল ফুটে।বছরের যে কোন সময় বাগান করা যায়,তার জন্য প্রয়োজন সৎ মনোভাব এবং ইচ্ছাশক্তি। অনেকে বলে সবাই নাকি বাগান করতে পারেনা,যার ধৈর্য আছে ,ভালবাসতে জানে সেই শুধু পারে ফুল ফুঁটাতে। ফুলের বাগানে অনেক পাখির আনাগোনা হয়।ফুলের সাথে সাথে পাখিসহ অন্যান্য কীটপতঙ্গও আমাদের প্রতিবেশী হয়ে ওঠে।

নান্দনিক

 ফুলের বাগান মানে নান্দনিকতায় ভরপুর।ফুলের চারপাশে অসংখ্য কীটপতঙ্গ ঘিরে থাকে।তবে সব কীট মানুষের জন্য বিপদজনক নয়।এমন অনেক পতঙ্গ রয়েছে যা আমাদের প্রাকৃতিক পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে। একটি ফুলের বাগান বাড়ির আদলটাই যেন পালটে দেয়।হোক না সেটা রাজপ্রাসাদ কিংবা দুঃখিনী মায়ের শতছিন্ন জোড়াতালি দেয়া কুটির, তাতে কিবা যায় আসে।বাবুই পাখি যেমন নিজ হাতে নিপুনভাবে তার বাসা বানায় হোকনা সেটা তালপাতার আগায় কিন্তু সেই বাসার মহনীয় রূপের কাছে সব নস্যি।

প্রাকৃতিক থেরাপি

 ফুলের দিকে তাকিয়ে অনেক দুঃখকষ্ট ভুলে থাকা যায়।এটি মানুষিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করে।আমরা যখন অনেক সময় হতাশার মাঝে ডুবে যায়, তখন যদি ফুলের দিকে কিছুক্ষণ মনোনিবেশ করি তাহলে বুঝতে পারি শত অনাদরে থাকলেও অন্যের জন্য নিজেকে বিলিয়ে দিতেও যেন শান্তি।এই শান্তির অনুসন্ধান করতে আমার একটি বাগানের প্রয়জন।যেখানে আমি নিজেকে বারে বারে খুঁজে ফিরি।

কায়িক পরিশ্রম;

আমি একজন আরামপ্রিয় মানুশ।জানি আমার মত আরও অনেকে আছে দলে।বিশেষ করে আমরা যারা এই ইট কাঠের শহরে বাস করি ,আমরা শুয়ে বসে কাটিয়ে দিই দিনের বেশিরভাগ।শহরের প্রাণহীন পরিবেশে বাড়ির বাইরে বের হওয়ারও উপায় থাকেনা।এই স্থবিরতার কারনে আমরা অনেক রোগশোকে আক্রান্ত হয়ে পড়ি।এর থেকে মুক্তির একটি ভাল সমাধান হতে পারে ফুলের বাগান।বাড়ির ভেতরে থেকেই কাজ করা হল,তাতে শরীর সচল হয়ে প্রানবন্ত হল,যত অসুখ-বিসুখ ও দূরে পালাতে কুল পাবেনা।

পবিত্রতার প্রতীক;

ফুল পবিত্রতার প্রতিক।আমাদের এই ভেজাল সমাজে গুটিকতক যে বিষয় গুলো এখন নিখাত রয়েছে তার মাঝে একটি হল এই ফুল।এর মাঝে কোন পঙ্কিলতা নেই।জগতে যত ময়লা আবর্জনা তার মাঝেই তার পবিত্রতা বজায় রেখেছে।ফুলের পবিত্রতার কাছে আমরা বিশুদ্ধ হয়ার মন্ত্র নিই।

প্রাকৃতিক সুগন্ধি

; জগতে যত ধরনের ফুল রয়েছে প্রায় সবগুলতেই রয়েছে জাদুকরি,পাগল করা সুগন্ধ।তার মধ্যে বিশেষ করে সাদা রঙের ফুলের কথা বলতেই হয়।বহু দূর থেকে এর পাগল করা ঘ্রানে শুধুমাত্র মানুষই ছুটে আসেনা,অনেক কীটপতঙ্গও ছুটে আসে তার রূপের সুধা পান করতে।এই ফুল থেকেই আমাদের যত পারফিউম,পাউডার ইত্যাদি তৈরি হয়ে থাকে।

বিশেষ সংযোগ স্থাপন;

পৃথিবীর সব যায়গাতেই বিভিন্ন ফুল ফু্টে।তবে সব এলাকায় একই রকম ফুল ফুটেনা কোথাও চেরি ফুটে তো কোথাও গোলাপ,আবার কোথাওবা কাঠ গলাপ।সবার পছন্দ এক রকম না।তাই এই ফুল বিনিময়ে হতে পারে আমাদের আত্মীয়তার বন্ধন সুদৃঢ়।


এই থেকে আমরা বুঝতে পারিযে আ।মাদের জীবনে ফুলের ।গুরুত্ব আমাদের সবার উচিত ছোট পরিসরে হলেও সাধ্যমতো ফুলের বাগান করা

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url